IQNA

ভিডিও | আব্দুল বাসিতের সুললিত কণ্ঠে দীর্ঘতম আয়াতের তিলাওয়াত

20:17 - November 16, 2020
সংবাদ: 2611819
তেহরান (ইকনা): বিশ্বখ্যাত ক্বারি আব্দুল বাসিত মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদের সুললিত কণ্ঠে পবিত্র কুরআনের দীর্ঘতম আয়াতের তিলাওয়াতের একটি ভিডিও সামাজিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে।

পবিত্র কুরআনের দীর্ঘতম আয়াত হচ্ছে সূরা বাকারার ২৮২ নম্বর আয়াত। এই আয়াতটি অতি মনোরম ও সুললিত কণ্ঠে মিশরের প্রসিদ্ধ ক্বারি আব্দুল বাসিত তিলাওয়াত করেছেন।
সূরা বাকারার ২৮২ নম্বর আয়াতের নাম “তাদাইয়ান”। এছাড়াও এই আয়াতটিকে দাইন অথবা মাদায়ান’ও বলা হয়।

পবিত্র কুরআনের আয়াতসমূহের মধ্যে এটি সবচেয়ে দীর্ঘতম আয়ত। আয়াতটি পরস্পর ঋণের লেনদেন লিপিবদ্ধ করার বিষয়ে নাযিল হয়েছে।

«یَا أَیُّهَا الَّذِینَ ءَامَنُواْ إِذَا تَدَایَنتُم بِدَیْنٍ إِلیَ أَجَلٍ مُّسَمًی فَاکْتُبُوهُ وَ لْیَکْتُب بَّیْنَکُمْ کَاتِبُ بِالْعَدْلِ وَ لَا یَأْبَ کاَتِبٌ أَن یَکْتُبَ کَمَا عَلَّمَهُ اللَّهُ فَلْیَکْتُبْ وَ لْیُمْلِلِ الَّذِی عَلَیْهِ الْحَقُّ وَ لْیَتَّقِ اللَّهَ رَبَّهُ وَ لَا یَبْخَسْ مِنْهُ شَیْا فَإِن کاَنَ الَّذِی عَلَیْهِ الْحَقُّ سَفِیهًا أَوْ ضَعِیفًا أَوْ لَا یَسْتَطِیعُ أَن یُمِلَّ هُوَ فَلْیُمْلِلْ وَلِیُّهُ بِالْعَدْلِ وَ اسْتَشهْدُواْ شهِیدَیْنِ مِن رِّجَالِکُمْ فَإِن لَّمْ یَکُونَا رَجُلَینِ فَرَجُلٌ وَ امْرَأَتَانِ مِمَّن تَرْضَوْنَ مِنَ الشهُّدَاءِ أَن تَضِلَّ إِحْدَئهُمَا فَتُذَکِّرَ إِحْدَئهُمَا الْأُخْرَی وَ لَا یَأْبَ الشهُّدَاءُ إِذَا مَا دُعُواْ وَ لَا تَسْمُواْ أَن تَکْتُبُوهُ صَغِیرًا أَوْ کَبِیرًا إِلیَ أَجَلِهِ ذَالِکُمْ أَقْسَطُ عِندَ اللَّهِ وَ أَقْوَمُ لِلشهَّادَةِ وَ أَدْنیَ أَلَّا تَرْتَابُواْ إِلَّا أَن تَکُونَ تِجَرَةً حَاضِرَةً تُدِیرُونَهَا بَیْنَکُمْ فَلَیْسَ عَلَیْکمْ جُنَاحٌ أَلَّا تَکْتُبُوهَا وَ أَشْهِدُواْ إِذَا تَبَایَعْتُمْ وَ لَا یُضَارَّ کاَتِبٌ وَ لَا شَهِیدٌ وَ إِن تَفْعَلُواْ فَإِنَّهُ فُسُوقُ بِکُمْ وَ اتَّقُواْ اللَّهَ وَ یُعَلِّمُکُمُ اللَّهُ وَ اللَّهُ بِکُلِّ شیْءٍ عَلِیمٌ؛


হে বিশ্বাসিগণ! যখন এক নির্দিষ্ট মেয়াদে পরস্পর ঋণের লেনদেন কর তখন তা লিপিবদ্ধ করে নিও এবং তোমাদের মধ্যে (তোমাদের শর্তাবলি) ন্যায়ত (সঠিকভাবে) লিপিবদ্ধ করা লেখকের কর্তব্য, আর তারা যেন লেখতে অস্বীকার না করে; বরং যেভাবে আল্লাহ তাকে (লেখাপড়া) শিখিয়েছেন সে যেন সেভাবে তা (আপত্তি ছাড়া) লেখে। আর যার ওপর ঋণ বর্তায় সে যেন ঋণপত্রের বিষয়বস্তু লেখায় এবং তার প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করে এবং তা থেকে কোন কিছু কম না করে, কিন্তু ঋণ গ্রহণকারী যদি নির্বোধ অথবা (চিন্তাশক্তিতে) দুর্বল (ও অক্ষম) অথবা স্বয়ং (ঋণপত্রের বিষয়বস্তু) লেখতে অপারগ হয় তবে তার অভিভাবক যথাযথ ন্যায়সঙ্গতভাবে লিখিয়ে দেবে। এবং তোমাদের (মুসলমানদের) পুরুষদের মধ্য থেকে তোমাদের পছন্দমত দু’জনকে সাক্ষী নিযুক্ত কর। যদি দু’জন পুরুষ না পাওয়া যায় তবে (কমপক্ষে) একজন পুরুষ ও দু’জন নারীকে সাক্ষী হিসেবে গ্রহণ কর; (কেননা,) এ দু’জনের মধ্যে যদি একজন ভুলে যায় তবে অপরজন স্মরণ করাবে। এবং যখন (বিচারকের সামনে সাক্ষ্য দানের জন্য) সাক্ষীকে তলব করা হবে তখন (হাজির হতে) অস্বীকার করবে না। (লেনদেন ও ঋণ) মেয়াদসহ লিখে রাখার ব্যাপারে অবহেলা ও অনীহা প্রকাশ করবে না, ঋণের পরিমাণ কম হোক বা বেশি। আল্লাহর কাছে এটা (লিখে রাখা) সর্বাধিক ন্যায়সঙ্গত এবং (প্রমাণ ও) সাক্ষ্যের জন্য সর্বাধিক দৃঢ় এবং যাতে তোমরা সন্দেহ ও সংশয়ে না পড় তার জন্য সর্বোত্তম পন্থা। তবে যদি নগদ কারবার হয়- যাতে মালপত্র তোমরা পরস্পর বিনিময় করে থাক, সেক্ষেত্রে (দস্তাবেজ) না লেখায় তোমাদের কোন দোষ (গুনাহ) নেই। তবে এ প্রকারের ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রেও সাক্ষী রাখ এবং লেখক ও সাক্ষী কাউকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে না। আর যদি তোমরা তা কর তবে তা অবশ্যই তোমাদের অবাধ্যতা বলে গণ্য হবে এবং আল্লাহকে ভয় কর, তাহলে আল্লাহ তোমাদের শিক্ষা দেবেন; এবং আল্লাহ সকল বিষয়ে সর্বজ্ঞানী। iqna

 

captcha